রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১২:০৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি:
হৃদরোগ আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন খাগড়াছড়ি জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ৭নং পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মংরে মারমা। সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
এর আগে আজ ৭ই মার্চ উপলক্ষে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত র্যালী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মংরে মারমা। এরপর খাগড়াছড়ি পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে পৌরকরের অভিযোগ নিষ্পত্তি বিষয়ক শুনানী সভায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরেন তিনি। সেখান থেকে তাৎক্ষণিক তাকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তার আকস্মিক মৃত্যুর খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জেলা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। সদালাপী ও সদা হাস্যজ্জল মানুষটির হঠাৎ এভাবে চলে যাওয়া মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে সবার।
এদিকে মংরে মারমা’র আকস্মিক মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, জেলা পরিষদের সদস্য ও আলোকিত খাগড়াছড়ি পত্রিকার প্রকাশক পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খাঁন নিখিল, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কে এম ইসমাইল হোসেন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট খাগড়াছড়ি ইউনিটের ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন মজুমদার, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব সভাপতি জীতেন বড়ুয়া, সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগসহ সকল সহযোগী ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এবং খাগড়াছড়ি পৌরসভার সকল কাউন্সিলর ও কমকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছে।
প্রসঙ্গত, খাগড়াছড়ি পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের টানা তিনবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর ছিলেন মংরে মারমা। এছাড়া খাগড়াছড়ি জেলা যুবলীগ সভাপতি যতন ত্রিপুরার মৃত্যুর পর সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পান তিনি।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৪৯ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তান এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।